সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত

নতুন প্যান কার্ড কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন ?

29TH MARCH, 2023 by J Kamilya

ভারতবর্ষে প্যান কার্ড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।প্যান এর পুরো নাম হল পার্মানেন্ট একাউন্ট নম্বর(Permanent account number)। প্যান হলো আয়কর বিভাগ দ্বারা প্রদত্ত একটি পরিচয় পত্র । ভারতের কর সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য প্যান কার্ড নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক । প্যান কার্ড করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে সেগুলি হল আধার কার্ড,পাসপোর্ট সাইজ ফটো, এবং আপনার সাইন এর এক কপি ফটো। নতুন প্যান কার্ড তৈরি করার জন্য ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা চার্জ লাগে। ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ভারতবর্ষের একটি নাগরিকের একটি প্যান কার্ড থাকা অতি আবশ্যক। আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে দেখে নেব কিভাবে বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন প্যান কার্ড বানানো যায়।

অনলাইনে প্যান কার্ড এপ্লাই । pan card apply online.

  1. Google সার্চ এর মধ্যে গিয়ে লিখতে হবে এন এস ডি এল প্যান কার্ড এপ্লাই লেখার পর সার্চ করতে হবে।
  2. সার্চ করার পর কিছু অপশন আসবে এর মধ্যে Online PAN application - NSDL নামে একটি অপশন থাকবে এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
  3. এরপর অনলাইন প্যান কার্ড এপ্লাই এর একটি পেজ খুলবে।
  4. এরপর প্যান কার্ড এপ্লাই অনলাইন এর মধ্যে একটি ফর্ম থাকবে যেটি কে পূরণ করতে হবে।
  5. pan card application step 4
  6. এরপর ফরমটির মধ্যে এপ্লিকেশন টাইপ নামে একটি ঘর থাকবে যেখানে নতুন প্যান কার্ড এপ্লাই এর জন্য নিউ প্যান কার্ড ইন্ডিয়ান সিটিজেন এই অপশনটিতে সিলেক্ট করতে হবে।
  7. এরপর ক্যাটাগরি নামে একটি ঘর থাকবে যেখানে নিজের প্যান কার্ড তৈরি করলে ইন্ডিভিজুয়াল সিলেক্ট করতে হবে।
  8. এরপর অ্যাপ্লিকেশন ইনফরমেশন নামে একটি ফর্ম থাকবে যেখানে নিজের তথ্য দিতে হবে।
  9. pan card application step 7
  10. অ্যাপ্লিকেশন ইনফরমেশন এর মধ্যে টাইটেল নামে একটি ঘর থাকবে যেখানে শ্রী ,শ্রীমতি ,কুমারী এই তিনটি অপশন থাকবে। এর মধ্যে যেটি আপনার সঠিক হবে সেটিকে সিলেক্ট করতে হবে।
  11. এরপর লাস্ট নেম, ফাস্ট নেম ,মোবাইল নাম্বার ,ডেট অফ বার্থ, ইমেইল এড্রেস বসাতে হবে।
  12. এরপর ক্যাপচার কোড বসাতে হবে এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  13. সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর একটি টোকেন আইডি শো করবে যেটিকে নোট করতে হবে।
  14. pan card application step 11
  15. এরপর কন্টিনিউ উইথ প্যান অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
  16. এরপর একটি নতুন পেজ আসবে যেখানে সাবমিট স্ক্যান্ড ইমেজ থ্রু ই সিগনেচার এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এবং যদি প্যান কার্ড এর ফিজিক্যাল কপি দরকার থাকে তাহলে ইয়েস ফ্রিজ অ্যাপ্লিকেশন বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
  17. এরপর আধার নম্বর এর লাশ ৪ ডিজিট বসাতে হবে।
  18. এরপর নেম এস বার আধার এই অপশন এর মধ্যে আপনার আধারের যে নাম আছে সেই নামটি কে বসাতে হবে।
  19. এরপর ফুল নেম অফ দা এপ্লিকেন্ট নামে একটি স্কিন থাকবে যেখানে আপনার সমস্ত ডিটেলস থাকবে যেখানে কিছু চেঞ্জ করার থাকলে করে নিতে পারেন।
  20. এরপর হ্যাভ ইউ এভার বিন নোন বাই আদার নেম এই অপশনটিকে সিলেক্ট করতে হবে।
  21. এরপর Details of পেরেন্টস নামে একটি স্ক্রিন থাকবে যদি প্যান কার্ড এর ফাদার নাম প্রিন্ট করাতে চান তাহলে ইয়েস করতে হবে না হলে নো অপশনটিতে সিলেক্ট করতে হবে।
  22. এরপর ফাদার নেম এর জায়গায় ফাস্ট নেম এবং লাস্ট নেম বঝাতে হবে।
  23. এরপর প্যারেন্টস নেম টু বি প্রিন্ট অন দা প্যান কার্ড এই অপশনটির মধ্যে যদি বাবার নাম প্রিন্ট করাতে চান তাহলে ফাদারস নেম সিলেক্ট করতে হবে এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  24. এরপর শুট অফ ইনকাম এর একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনার ইনকাম যেখান থেকে হয় তা সিলেক্ট করতে হবে। অথবা আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে নো ইনকাম বাটন টি তে সিলেক্ট করতে হবে।
  25. এরপর অ্যাড্রেস অফ কমিউনিকেশন নামে একটি স্কিন থাকবে যেখানে রেসিডেন্ট অপশনটিকে সিলেট করতে হবে।
  26. এরপর রেসিডেন্ট এড্রেস নামে একটি স্ক্রিন থাকবে, যেখানে আপনার বাড়ির সম্পূর্ণ অ্যাড্রেস দিতে হবে।
  27. pan card application step 23
  28. এরপর অফিস এড্রেস নামে একটি স্কিন থাকবে যদি আপনি কমিউনিকেশন এর জন্য অফিস সিলেট করেন তাহলে এই স্ক্রিনটি সিলেক্ট করতে হবে।
  29. এরপর টেলিফোন নাম্বার এন্ড মেইল আইডি অ্যাড্রেস নামে একটি স্কিন থাকবে যেখানে কান্ট্রি কোড মোবাইল নাম্বার ইমেইল এড্রেস ফিলাপ করে নিতে হবে।
  30. pan card application step 25
  31. এরপর রিপ্রেসেন্টেটিভ এড্রেস নামে একটি স্ক্রিন থাকবে আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে ইয়েস করতে হবে না হলে নো অপশনে সিলেক্ট করতে হবে এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  32. এরপর হেল্প অন এ ও কোড নামে একটি স্ক্রিন ওপেন হবে যেখানে ইন্ডিয়ান সিটিজেন অপশন সিলেক্ট করতে হবে এবং আপনার টেট সিটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  33. এরপর ডকুমেন্ট আপলোড নামে একটি স্ক্রিন ওপেন হবে। যেখানে প্রুফ অফ আইডেন্টিটি অপশন এতে আধার কার্ড সিলেক্ট করতে হবে এবং প্রুফ অফ এড্রেসে তে আধার কার্ড সিলেক্ট করতে হবে এবং প্রুফ অফ ডেট অফ বার্থ আধার কার্ড সিলেক্ট করতে হবে।
  34. এরপর ডিক্লারেশন নামে একটি স্কিন ওপেন হবে। ডিক্লেশান এর জায়গায় আপনার নাম থাকবে এবং হিমসেল অপশন টি কে সিলেক্ট করতে হবে এরপর প্লেস এর জায়গায় আপনার শহরের নাম দিতে হবে।
  35. pan card application step 29
  36. এরপর আপলোড ফটো এন্ড সিগনেচার এর মধ্যে ফটো এবং সিগনেচার আপলোড করতে হবে।
  37. এরপর সাপোর্টিং ডকুমেন্ট নামে একটি স্কিন থাকবে তার মধ্যে এক ডকুমেন্ট এ ক্লিক করতে হবে এবং আধার কার্ড আপলোড করতে হবে এবং আপলোড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  38. pan card application step 31
  39. এরপর পার্সোনাল ডিটেলস নামে একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আধার কার্ডের প্রথম আটটি ডিজিট দিতে হবে ।এরপর আপনার ডকুমেন্ট এর সমস্ত ডিটেলস শো করবে। সমস্ত ডিটেলস চেক করার পর প্রসিড বাটন এ ক্লিক করতে হবে।
  40. এর পর মুড অফ পেমেন্ট নামে একটি পেজ ওপেন হবে। যেখানে অনলাইন পেমেন্ট থ্রু পেটিএম সিলেক্ট করতে হবে । প্যান কার্ডের জন্য ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা চার্জ লাগবে। এরপর প্রসিড টু পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পেমেন্ট কমপ্লিট হয়ে গেলে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  41. pan card application step 31
  42. এরপর আধার কার্ডের সাথে অথেন্টিকেশন করার জন্য অথেন্টিকেট বাটনে ক্লিক করতে হবে । আধার কার্ডের যে মোবাইল নম্বর আছে সেই মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে ওটিপি বসানোর পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  43. এরপর ই সিগনেচার এর একটি পেজ ওপেন হবে। আপনি যদি অনলাইনে সিগনেচার ভেরিফিকেশন করে নিলে কোন ফিজিকাল ডকুমেন্ট সেন্ড করতে হবে না।
  44. অনলাইন ইজ সিগনেচার করার জন্য কন্টিনিউ With a signature butn a click করতে হবে।
  45. pan card application step 36
  46. এরপর এমডিএসএল ইলেকট্রনিক্স সিগনেচার সার্ভিস এর একটি পেজ ওপেন হবে।যেখানে আধার নম্বর দিতে হবে এবং সেন্ড ওটিপি বটন এ ক্লিক করতে হবে । ওটিপি বসানোর পর ভেরিফাই ওটিপি বাটন এ ক্লিক করতে হবে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার প্যান কার্ড এর অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস কমপ্লিট হয়ে যাবে।

এনএসডিএল এর থেকে একটি স্লিপ ডাউনলোড করার জন্য দেবে । স্লিপ ডাউনলোড করার জন্য কোন সিম্বল ছাড়া ডেট অফ বার্থ দিতে হবে। অনলাইন প্যান কার্ড অ্যাপ্লিকেশন করলে ৪৮ ঘন্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে প্যান কার্ড জেনারেট হয়ে যায়। যেটা ইমেইল আর এসএমএস এর মধ্যে নোটিফিকেশন চলে যায়। এছাড়া ফিজিকাল প্যান কার্ড ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বাড়িতে চলে যায়। আপনি যদি প্যান কার্ড আধার কার্ড লিঙ্ক করাতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আমরা প্রতিনিয়ত জরুরী ভিত্তিক তথ্য ও সাধারন মানুষের নখদর্পণে এনে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ করার জন্য চেষ্টা করি।

আমাদের টেলিগ্রাম কমিউনিটি : https://t.me/tothyamitra


লেখক

J Kamilya

আমার সম্পূর্ণ নাম জয়জিৎ কামিল্যা। আমি ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর হয়েছি। আমি একটি কোম্পানিতে ফুল টাইম চাকরি রত। আমি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার আমি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি যার নাম তথ্য মিত্র।



Comments

উপরে যান